কোর্স ইন্সট্রাক্টর
হোসাইন আহমাদ ফয়জী
মুহাদ্দিস, জামিয়া দারুল হাদীস হাসনাবাদ
অভিজ্ঞতা ১১ বছর
কোর্সটি সম্পর্কে জানুন
আরবী ভাষা শিখার কয়েকটি ইলম রয়েছে, তন্মধ্যে দ্বিতীয় ইলম হলো ইলমুন্নাহু। তাতে রয়েছে কয়েকটি স্তর বা ধাপ। প্রথম ধাপ হলো ইবতেদায়ী কিতাবগুলো শিখা। যেগুলো আমরা নাহবেমীর ও হিদায়াতুন্নাহুর মাধ্যমে পাড় হয়ে এসেছি। তারপরের ধাপের কিতাব-ই হলো কাফিয়া।
আমরা জানি যে, কাফিয়া কিতাবটি আরবি ব্যাকরণের কিতাবসমুহের মধ্যে বিখ্যাত নির্ভরযোগ্য একটি কিতাব। সংক্ষিপ্ত পরিসরের হলেও এটি আরবি ব্যাকরণের খুঁটিনাটি বিষয়কে সমন্বয়কারী হিসেবে অদ্বিতীয় কিতাব। সাতশত হিজরি থেকে এখনো তা দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে পাঠ্যভুক্ত ও সমাদৃত রয়েছে।
আরবি ব্যাকরণ শাস্ত্রের শ্রেষ্ঠতম এই গ্রন্থের লেখক যুগ শ্রেষ্ঠ আরবি ব্যাকরণবিদ আল্লামা জামাল উদ্দিন আবু আমর উসমান ইবনে উমর (রাহ্); সংক্ষেপ নাম - ইবনে হাজিব (৫৭০ হিজরি - ৬৪৬ হিজরি)
কাফিয়া কিতাবটি সর্ব প্রথম রোমে ১৫৯২ খ্রিষ্টাব্দে মুদ্রিত হয়।
আরবি, উর্দু, ফার্সি ও তুর্কিসহ বিভিন্ন ভাষায় এর ব্যাখ্যা গ্রন্থ ৩৬০টিরও অধিক প্রকাশিত হয়েছে। যা দিন দিন বেড়েই চলেছে।
মানুষ কাফিয়া কিতাবটিকে খুব কঠিন মনে করে। বাস্তবে তা কোনোভাবে ই কঠিন নয়। তা আপনি কোর্সটি করলেই সহজে বুঝতে পারবেন।
বাস্তব সত্য হলো, আলিয়া মাদরাসায় কিতাবটি পড়ানোই হয় না, হলেই ক্ষেত্রবিশেষ। পূর্ণ কিতাব না। তাছাড়া অধিকাংশ কওমী মাদরাসাগুলোতেও পূর্ণ কিতাব শেষ করা হয় না। আমরা আলহামদুলিল্লাহ, শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পুরো কিতাব যথাযথভাবে শেষ করেছি।
দারসে কাফিয়ার কিছু বৈশিষ্ট্য —
১. সহজ-সরল ব্যখ্যামূলক অনুবাদ।
২. ইবারতে মুশকিলার হল করা হয়েছে।
৩. পূর্ববর্তী ও পরবর্তী অনেক শরুহাত (যেমন, النجم الثاقب، منهاج الطالب، مصباح الراغب، غاية التحقيق، شرح الهندي، شرح العصام، شرح الرضي، شرح المقدمة الكافية) থেকে তাশরীহ নিয়ে আসা হয়েছে।
৪. কাফিয়ার প্রচলিত নুসখার ভুলভ্রান্তি ধরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে।
৫. তাসামুহ ও খললে ইবনে হাজিব তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে।
৬. مختلف فيه মাসআলার মাজাহিব ও তারজীহ বর্ণনার চেষ্টা করা হয়েছে।
৭. তারাকিবের কায়েদাগুলো যথাস্থানে বলা হয়েছে।
৮. পাঠ শেষে কাফিয়ার زوائد উল্লেখ করা চেষ্টা করা হয়েছে।
যাদের জন্য কাফিয়া কোর্সটি—
১. যারা ইলমুন্নাহুতে গভীর ইলম অর্জন করতে চায়।
২. যারা নাহুর ভয় দূর করতে চায়।
৩. যারা আরবী ইবারতের কলাকৌশল জানতে চায়।
৪. যারা ইলমুন্নাহুতে পাণ্ডিত্য অর্জন করতে চায়।
৫. যারা কুরআন-হাদীস ভালোভাবে জানতে চায়।
৬. যারা হিদায়াতুন্নাহু শেষ করেছে।
৭. যারা ইলমুন্নাহুর কোর্স করাতে চায়।
৮. যারা তারকীবের কাওয়ায়েদ সহজে জানতে চায়।
তাই যারা মহামূল্যবান ইলম চার্চায় নিজেকে অব্যাহত রাখতে চান, তারা অবশ্যই কোর্সটি ঘরে বসেই করতে পারবেন। তাই দেরি না করে, আজই কোর্সটি কিনে ফেলুন। আর নিজেকে ইলম চর্চায় নিয়োজিত রাখুন।