কোর্স ইন্সট্রাক্টর
মুহাম্মাদ নেয়ামত উল্লাহ (তাওসীফ)
সাবেক মুঈনে মুদাররিস, দারুননাজাত মাদরাসা কিতাব বিভাগ।
অভিজ্ঞতা ৪ বছর
কোর্সটি সম্পর্কে জানুন
ফারায়েজ হলো দ্বীনের
অর্ধেক। ফারায়েজ হলো ইলমের অর্ধেক। হাদিসে এসেছে, عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللّٰهُ عَنْهُ مَرْفُوْعًا: ‹‹تَعَلَّمُوا الْفَرَائِضَ وَعَلِّمُوهَا فَإِنَّهُ نِصْفُ الْعِلْمِ››. (اِبْنُ مَاجَه)হযরত আবু হুরায়রা রা. হতে বর্ণিত রাসূল সা. বলেছেন: তোমরা ফারায়েজ
শিক্ষা করো এবং তা মানুষকে শিক্ষা দাও। কেননা তা ইলমের অর্ধেক। ইবনু মাজা
কী পরিমাণ গুরুত্বপূর্ণ
হলে রাসূল সা. জ্ঞানের একটি শাখাকে পুরো ইলমের অর্ধেক বলতে পারেন! মানুষ মারা গেলে
তার কাফন দাফন, ঋণ পরিশোধ, ওসিয়ত পূরণ এবং ওয়ারিশদের মাঝে অবশিষ্ট্য সম্পদ বণ্টন
করা ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা করা হয়ে থাকে ইলমুল ফারায়েযে। জ্ঞানের অন্যান্ন সকল শাখা
মানুষের পার্থিব বিষয়ের সাথে সম্পর্কিত আর ফারায়েজ হলো মানুষ পৃথিবী থেকে চলে
যাওয়ার পর তার পরিত্যক্ত সম্পদের সাথে সম্পর্কিত। একটা ইহকালীন জীবনের সাথে
সম্পর্কিত আর একটি পরকালীন জীবনের সাথে সম্পর্কিত। তাই ইলমুল ফারাযেজ হলো জ্ঞানের
অর্ধেক।
একজন মানুষ অনেক সম্পদ
রেখে ইন্তিকাল করলো সেই সাথে রেখে গেলো সন্তানাদি, বাবা-মা, ভাই-বোন, নানা-নানী,
চাচা-চাচী, খালা-ফুফু ইত্যাদি আরো অনেক কে। এই ব্যক্তির সম্পদ কে কতটুকু পাবে? যদি
সন্তানরা দাবী করে বাবা আমাদের জন্য ইনকাম করেছেন তাই আমরাই এর মালিক, আবার
অপরদিকে মৃত্যের বাবা দবি করলো, আমার ছেলে যা রেখে গেছে তা আমার জন্য: অন্য কেউ
এখানে ভাগ বসাতে পারবে না। তাহলো কীভাবে সামাধন করা হবে? মৃত ব্যক্তির সম্পদের কত
অংশ কে পাবে? এসব বিষয়ের সুষ্ঠ সমাধান জানতে হলে আপনাকে পড়তে হবে ইলমুল ফারায়েজ।
পবিত্র কোরানে সূরা নিসায়
মহান আল্লাহ সম্পদের মৌলিক ভাগ বর্ণনা করে দিয়েছেন। অনেক হাদিসে রাসূল সা. এবং
তাঁর সাহাবীগণ ফারায়েজের বিভিন্ন বিষয়ে আলোকপাত করেছেন। ইলমুল ফারায়েজের জ্ঞান না
থাকলে উক্ত আয়াত এবং হাদিস সমূহ অনুধাবন করা সহজ হবেনা। কোরান হাদিসের সঠিক বুঝ
অর্জন করে সামাজিক ভাবে মানুষের মাঝে ইসলামের সঠিক বিধান পৌঁছানোর জন্য, মানুষের
মাঝে ইনসাফ কায়ের জন্য, সর্বোপরি নিজেকে দ্বীনি ইলমের হক্কানী আলেম হিসেবে গড়ে তোলার
জন্য ইলমুল ফারায়েজ ভলোভবে জানার বিকল্প নেই।
তাই অতি অল্প সময়ে খুব
সহজে দ্রæত আয়ত্ব করার মানসে
আপনাদের জন্য আমাদের আয়োজন “ইলমুল ফারায়েজ কোর্স”।
যা থাকছে এই কোর্সে-
Ø পুরো ইলমুল ফারায়েজের খুব
সহজ উপস্থাপনা।
Ø চল্লিশটি ক্লাসে আলাদা
শিরোনামে ভাগ ভাগ আলোচনা।
Ø হাতে কলমে প্রাক্টিক্যল
প্রশিক্ষণ।
Ø বেসিক থেকে এডভান্স
লেভেলের সকল আলোচনা সহজ ও সাবলীল উপস্থাপনা।
Ø রেকর্ডেড ভিডিওর সাথে
থাকছে মানসম্মত গুছানো তথ্যবহুল পিডিএফ শীট।
Ø প্রতিটি ক্লাসে বাস্তব
উদাহরণ সহ প্রাক্টিক্যল প্রশিক্ষণ।
Ø একদম শুরু থেকে আলোচনা
শুরু তাই খুব সহজে বুঝে আসে।
Ø দীর্ঘ আলোচনার গোছালো
সারসংক্ষেপ উপস্থাপনা।
Ø ক্লাসের ব্যপ্তি কম তাই
বিরক্তিকর হওয়ার কোন অপশন নেই।
Ø অভিজ্ঞতা সম্পন্ন শিক্ষক
দিয়ে পাঠদান তাই যে কোন লেভেলের শিক্ষার্থী সহজেই বুঝতে পারে।
কোর্সটি যাদের জন্য-
ü যারা ইলমুল ফারায়েজ
জানতে আগ্রহী।
ü যারা আলিম পরিক্ষার্থী।
ü যারা শুরু থেকে ইলমুল
ফরায়েজে দক্ষ হতে চায়।
ü যারা ইলমুল ফরায়েজকে
নিজের মত করে বুঝতে চায়।
ü যারা মুনাসাখার যে কোন
অংক স্বল্প সময়ে সহজে সমাধান করতে চায়।
ü যারা ইলমে দ্বীনের
হক্কানী আলেম হতে চায়।
ü যারা সমসাময়ীক মিরাস
বণ্টন সম্পর্কে জানতে চায়।
ü যারা খুব সহজে ফরায়েজের
হিসাব করতে চায়।
ü যারা অন্যকে সহজে
ফারায়েজ বুঝাতে চায়।
ü যারা সিরাজী কিতাব পানির
মত সহজ করে বুঝতে চায়।
ü যারা মিরাস বণ্টনে
ইসলামী বিধান সর্বস্থরে ছড়িযে দিতে চায়।
ü যারা অন্যের তুলনায়
ইলমুল ফারায়েজ শাস্ত্রে এগিয়ে থাকতে চায়।